বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চিংড়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। হামলার বিচারের দাবিতে শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় নারিকেল বাড়িয়া বাজারে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সোবাহান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মামুন খান, বিএনপি নেতা কবির শিকদার, ইউপি সদস্য মনির শিকদার, মহিলা দলের সভানেত্রী চামেলী আক্তার সহ স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ এপ্রিল রাত সাড়ে চিংড়াখালী গ্রামের আরমান দিহিদারের ছেলে ইউনিয়ন যুবদল নেতা সাইফুল দিহিদার (২৮) বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মিন্টু হাওলাদারের নেতৃত্বে ৬/৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সাইফুলকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় বিএনপি কর্মী সরোয়ার শিকদার, মহিদ শিকদার, মারুফ শিকদার, দুলাল শিকদারসহ ৬/৭ জন উদ্ধার করতে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও এলোপাতারি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এতেও তারা ক্ষান্ত না হয়ে পরে নারিকেল বাড়িয়া বাজারে ৩টি দোকান ভাঙচুর করে মালামাল সহ দু’টি বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নেয়।
এ ঘটনার পর পরই আহতদের চিকিৎসার জন্য মোরেলগঞ্জ, পিরোজপুর ও বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে সাইফুল দিহিদারের অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে দিহিদার আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা সিটি হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি রয়েছেন।
ভু্ক্তভোগী সাইফুল দিহিদারের চাচাতো ভাই হানিফ দিহিদার বাদি হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় গত ১০ এপ্রিল মিন্টু হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল থেকে নারিকেল বাড়িয়া বাজারে ব্যবসায়ীরা আতংঙ্কে দোকান পাট বন্ধ রেখেছেন। দুয়েকটি দোকান খুললেও বাজারের অধিকাংশ দোকান থাকছে বন্ধ। ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব আল রশিদ বলেন, চিংড়াখালীতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যে একটি সভা করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ওই মামলায় দুই জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৬ জন আসামি জামিনে রয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/জেএম